চটগ্রাম জেলার অর্ন্তগত বোয়ালখালী উপজেলার ১নং কধুরখীল ইউনিয়ন এর মধ্যভাগে প্রাকৃতিক গাছগাছালি আর ঘরবসতিপূর্ন স্থানে উপজেলা সদর হয়ে চৌধুরীহাট ডিসি সড়কের সংলগ্ন এই ঐতিহ্যবাহী মিলন মন্দির অবস্থিত। এই মিলন মন্দিরটি ১৯৫৪ সনে স্থাপিত হয়।মিলন শব্দের অর্থ যেমন সন্ধি ,আর মন্দির শব্দের অর্থ হল উপাসনালয়। তাই কমিটির নামকরন অনুযায়ী এর অর্থ যথার্থ মিল করন হয়েছে । মিলন মন্দির শব্দের শাব্দিক অর্থ হল সকলের সমবেত উপসনালয়। মন্দিরের আশে পাশের সনাতনী লোকেরা ধর্ম সম্পর্কে খুবই সচেতন ছিল। এবং শিক্ষিত সম্ভান্ত লোক ও ছিল। ওদের সবার সমবেত সিদ্ধান্তে সনাতনী সব অনুষ্টান যেমন দূর্গাপূজা,স্বরসতী পূজা গুলো খুবই বিলাস বহুল অর্থ ব্যয়ে অনুষ্টিত হতো। এবং এই মন্দিরের বিগত ৩০ বছর আগে বড় রাস উৎসব হতো। চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম তথা,দুর-দুরান্ত থেকে সনাতন ধর্মের লোকেরা আসতো এই উৎসবগুলোতে। অনুষ্টানটি দীর্ঘ 15/20 দিন ব্যাপী হতো। এই রাস উৎসবগুলোতে বড় মেলা জমতো। মেলায় হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খৃষ্টান সব ধর্মের লোকের সমাগম হতো । উৎসবে 10/15 দিন ব্যাপি সার্কাস নাটক যাত্রা হতো। তবে ইদানীং ১৫/২০ বছর যাবৎ রাস উৎসব মেলা হয়না তবে পূজা পার্বন সব হয়। গত ১৯৯৭ সনে রন্জন দেবনাথ রচিত আবুল বশর পরিচালিত সামাজিক নাটক ””জীবন নদীর তীরে,,অনুষ্টিত হয়। নাটকটি বোয়ালখালীতে সাড়া জাগিয়েছিল। পুরনো সনাতনী সংস্কৃতি বহন করা এই মিলন মন্দির ইতিহাসে স্বাক্ষর হয়ে থাকবে।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS